সোমবার, ২৮শে জুলাই, ২০২৫

নুর উন নবী—একজন বিতর্কিত ও প্রভাবশালী ব্যক্তি

 

 

 

 

নুর উন নবী—একজন বিতর্কিত ও প্রভাবশালী ব্যক্তি—যার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক গুরুতর অপরাধের অভিযোগ। ব্যাংক জালিয়াতি, ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে কোটি টাকার ঋণ গ্রহণ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকার নাম পরিবর্তন এবং জমি দখলের মতো অপরাধের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে পড়েছে বহুবার।

স্থানীয় সূত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নুর উন নবী দীর্ঘদিন ধরে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় থেকে নিজের প্রভাব বিস্তার করে আসছেন।

 

অভিযোগ রয়েছে, তিনি একাধিক ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া, রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে একটি এলাকার নাম পর্যন্ত পরিবর্তন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

নুর উন নবীর অপরাধ নিয়ে বীর চট্টলা টিভি ধারাবাহিক প্রতিবেদন ও সংবাদ প্রকাশ করলে নেটিজেনরা নুর উন নবী ও তার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের দ্রুত বিচার দাবী করে নানা ধরনের কমেন্টস করতে থাকে , অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন এত তথ্য প্রমান থাকা সত্ত্বেও নুর উন নবী কেন এখনও গ্রেফতার হচ্ছে না।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, নুর উন নবী তার আপন চাচাতো ভাইয়ের বসত ঘর লুটপাট করে  জমি দখল করে সেখানে নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করলেও প্রশাসন কোন আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেনি। জমির প্রকৃত মালিক একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও, এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

উল্লেখ্য  নুর উন নবীর রয়েছে কিশোরগ্যাং এ কিশোরগ্যাং এর নেতৃত্বে রয়েছে সাব্বির সহ অন্যান্য কিশোরা নুর উন নবী সাব্বিরকে দিয়ে এলাকায় মাদক, গরুচুরি, ধর্ষনসহ নানা অপকর্ম করে আসছে প্রতিনিয়ত । গত  রাত নুর উন নবী তার কিশোর গ্যাং সাব্বির সহ, নুর উন নবীর আপন চাচাত ভাই এর স্ত্রীরকে ধর্ষন করার উদ্ধেশ্যে তার উপর হামলা করে ,পরে পুলিশ খবর পেয়ে রাত আনুমানিক ১টা ৫০ মিনিটে ঘটনাস্থলে গেলে নুর উন নবী , সাব্বির,রুবেল পালিয়ে যায়। এসময় অভিযান চালিয়ে সাব্বিরের ঘর থেকে ইয়াবা ও গাজা উদ্ধার করে চন্দ্র গঞ্জ থানার এস আই শাহরিয়ার আহমেদ। এবং  থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভোক্তভোগী তাহমিনা সুলতানা। ভোক্তভোগী তাহমিনার পরিবারের নিরাপত্তার সাত্ত্বে এখনই আইনের আওতায় আনতে হবে নুর উন নবী ও তার সহযোগীদের।

প্রকাশ থাকে যে, এর আগেও নুর উন নবীর আপন ভাই তার আপন চাচিকে ধর্ষন করে, উক্ত মহিলার স্বামী প্রবাসী হওয়াতে নুর উন নবী লোক মারফত বারবার তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তারই পরিপেক্ষিতে গত রাতের এই হামলা যা ছিল নুর উন নবী দীর্ঘদিনে ক্ষোভ ঐ নারীর উপর।

 

নুর উন নবীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও তদন্ত প্রতিবেদন থাকলেও আজও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি প্রশাসন। ফলে প্রশ্ন উঠছে—কেন এত অভিযোগ সত্ত্বেও নুর উন নবীর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? সাধারণ মানুষ মনে করছেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকেই তিনি আইনের আওতা এড়িয়ে চলতে পারছেন।

বিভিন্ন তথ্য  সূত্রে ও নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে বীর চট্টলা টিভি জানতে পারে নুর উন নবী এখন টাকার প্রভাবে বিএনপির কিছু নেতার আশ্রয়ে প্রশাসকে মেনেজ করে তার অপরাধের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করছে, এদিকে সংবাদ পত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে নুর উন নবীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তার চাচাত ভাই মামুন।

সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে সর্বমহলে। প্রশ্ন রয়ে যায়—অবশেষে কবে আইনের আওতায় আসবে নুর উন নবীর মতো প্রভাবশালী অপরাধীরা?

Facebook
WhatsApp
Email
Pinterest
Telegram