চট্টগ্রামের হালিশহর পোর্ট কানেক্টিং সড়কে গত ১১ জুন ২০২৫ ইং তারিখে একটি বেপরোয়া গতির, লাইসেন্সবিহীন গাড়ির চাপায় নিহত হন সাইকেল আরোহী ওছমান গনি। ঘটনার পর অভিযুক্ত চালক মো. তানিম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তবে আদালতে উঠেছে নতুন বিতর্ক—তানিম কি শিশু, নাকি প্রাপ্তবয়স্ক?
অভিযোগ রয়েছে, তানিমকে যেকোনো মূল্যে আইনের ফাঁক গলে মুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তার প্রভাবশালী পিতা। তিনি ছেলেকে শিশু হিসেবে দাবি করে মামলা শিশু আইনে চালানোর জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে আসামিপক্ষ আদালতে তানিমের জন্মনিবন্ধন সনদ উপস্থাপন করে দাবি করেছে, তামিম এখনও শিশু বয়সের মধ্যেই রয়েছে।
অন্যদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী এ দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, “তানিম একজন কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী। সে মাধ্যমিক পরীক্ষা (এসএসসি) উত্তীর্ণ হয়েছে। এমন একজন ছাত্র কোনোভাবেই শিশু হতে পারে না।” তিনি আরও জানান, “ঘটনার দিন তানিম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজেই বলেছে তার বয়স ১৯ বছর।”
বাদীপক্ষ মনে করে, তামিমকে শিশু হিসেবে প্রমাণ করে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চলছে, যাতে নিহত ওছমান গনির পরিবার ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, “যদি তানিম সত্যিই শিশু হয়, তাহলে তার বিচারও শিশু আইন অনুযায়ী হওয়া উচিত। এতে করে সে যেমন কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবে, তেমনি বিচার প্রক্রিয়াও আইনগতভাবে সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে।”
বাদীপক্ষ আদালতের কাছে অনুরোধ করেছে, তানিমের শিক্ষাগত সনদ (এসএসসি বা সমমান) উপস্থাপন করে প্রকৃত বয়স নির্ধারণ করার জন্য। তারা মনে করে, সত্যিকারের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই এই প্রমাণগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে নিহত ওছমান গনির পরিবার দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। তারা আশঙ্কা করছে, প্রভাবশালীদের চাপে মামলা ন্যায়সঙ্গত পথে এগোবে না।
তবে উক্ত ঘটনা, পুলিশি তথ্য ,আসামি তানিম হোসেনের স্বিকারোক্তি ও বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান চালিয়ে বীর চট্টলা টিভি জানতে পারে যে তানিম হোসেন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক, তার বয়স ১৯ বছর। সে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ (জি ই সি মোড়) এর এইচ এস সি ২য় বর্ষের ছাত্র।
ঘটনার তদন্ত ও বিচার এখনো চলমান। আদালত ও তদন্ত কর্মকর্তাদের ওপর এখন নির্ভর করছে—তামিম প্রাপ্তবয়স্ক নাকি শিশু, এবং এই হত্যা মামলার বিচার কোন পথে এগোবে।
