মো: কামাল
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
উপকারের প্রতিদানে এমন ভয়াবহ প্রতারণা—স্বপ্নেও ভাবেননি সৌদি প্রবাসে শত শত মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী, সদা হাস্যোজ্জ্বল ও পরোপকারী প্রবাসী ব্যবসায়ী আবদুল করিম। দীর্ঘদিন সৌদি আরবে কষ্টসাধ্য জীবন পেরিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যেখানে এখনো কর্মরত বহু বাংলাদেশি। তার এ প্রতিষ্ঠান অনেকের জীবনে এনে দিয়েছে আশার আলো।
কিন্তু আজ সেই আলোকে ঢেকে দিচ্ছে ঈর্ষার কালো ছায়া। আবদুল করিমেরই এলাকার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি, মো. কামাল হোসেন, যিনি করিমের অসংখ্য উপকারভোগী—পরিণত হয়েছেন প্রতারণার প্রতিমূর্তিতে। সুযোগসন্ধানী কামাল এক সময় করিমের ছায়াসঙ্গী ছিলেন। কিন্তু আজ সেই কামালই, প্রতিশ্রুতির বিপরীতে করিমের সর্বনাশে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বিশ্বস্ত সূত্র, কলরেকর্ড ও ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে জানা যায়, কামাল হোসেন সৌদিতে আবদুল করিমের ব্যবসায়িক সুনাম ও অবস্থানকে নষ্ট করার জন্য সৌদি মালিকের কাছে বারবার করিম সম্পর্কে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করেন। করিমের অবর্তমানে কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দোকানের চাবি কেড়ে নেন এবং সৌদি মালিকের সহয়তায় দোকানের মালপত্র ও নগদ অর্থ লুটে নেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এখানেই শেষ নয়—করিমের ঘরে সংরক্ষিত প্রায় ৪০ হাজার রিয়াল মূল্যমানের মালামালও আত্মসাৎ করতে তিনি কফিলকে পরমর্শ দেন। এমনকি করিমের ব্যবহৃত গাড়ির চাবি নিয়ে তা মালিকের হাতে তুলে দিয়ে, মালিকের সঙ্গে মিলে করিমকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রেও জড়িয়ে পড়েন।
আওয়ামী পদধারী পরিবারের সদস্য মো: কামাল, সৌদি কফিলের সাথে যোগসাজসে করিমের প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী পরিবারের সদস্য এত বড় অপরাধ করার সহস পায় তার আওয়ামী পরিবারের ক্ষমতার প্রভাবে। তবে, এখন সময় এসেছে ন্যায় বিচারের। এদিকে উক্ত ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হলে মো: কামালের ভাই পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা মো: আলাউদ্দিন , মো: জামাল বিভিন্নভাবে করিমকে হুমকি দামকি , ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে, যা তাদের আওয়ামী দু:শাসনেরই বহি:প্রকাশ বলে মানে করেন সচেতন মহল।
সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় হলো, যাকে একদিন ভরসা করে পাশে রেখেছিলেন করিম, সেই কামালের হাতেই তার জীবন আজ ছারখার হওয়ার পথে। এক সময়ের পরোপকার আর মানবসেবার পরিণতি হিসেবে এমন নির্মম প্রতারণা যে কোনো বিবেকবান মানুষকে নাড়া দেবে।
প্রশ্ন উঠে—এই কি উপকারের প্রতিদান? এই কি মানবতার মূল্য?
আবদুল করিম এখন চান সুবিচার। তিনি চান, যারা তার শ্রম, ঘাম ও স্বপ্নের ওপর আঘাত হেনেছে, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক। সমাজের বিবেকবান মানুষদের প্রতি তার আহ্বান—এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন, ন্যায়বিচারের পথে পাশে থাকুন।