(লক্ষীপুর) প্রতিনিধি: কবির হোসেন রাকিব
লক্ষীপুরের কমলনগরে ‘দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রে’ নির্মাণাধীন কাজ ধীরগতিতে করার অভিযোগ ওঠেছে। জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে উপকূলীয় এলাকার ‘দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য প্রাককলন অনুযায়ী বরাদ্ধ দেয়া হয় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এতে জেলার কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামের একটি আশ্রয়কেন্দ্রের নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে এক তলা বিশিষ্ট ভবনের কাজ গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখে শুরু হয়ে চলমান রয়েছে। প্রাক্কলন অনুযায়ী নির্মাণাধীন ভবনের কাজ সম্পন্ন হবে আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৫ইং তারিখে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চরপাগলা গ্রামের এক তলা বিশিষ্ট নির্মাণাধীন দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্রের ভবনটি কাজ চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণাধীন ভবনের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৩০-৪০ ভাগ। এতে নিম্নমানের রড-বালু ও সিমেন্ট দিয়ে কাজ চলছে।
ভবনটিতে যথাযথ পানি ব্যবহার করা হয় নাই। অনুপস্থিত দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারও। স্থানীয়দের দাবি, নির্মাণাধীন ভবনটি সড়ক থেকে দূরে হওয়ায় (চরের ভেতরে) যোগাযোগ ব্যবস্থার অজুহত দেখিয়ে নানা অনিয়মে কাজ করছেন সংশিস্নষ্ট ঠিকাদার ও ইঞ্জিয়ার। মনিটরিংয়ের যথেষ্ঠ অভাব আশ্রয়ণকেন্দ্রটিতে। স্থানীয় আবুল হোসেন, কুলছুম ও আনোয়ারাসহ অসংখ্য মানুষ জানান, সরকারী ভবনটি হলে দুর্যোগের সময় আমরা ও আমাদের মালামাল রাখতে পারবো। আমরা গত বছরও পানিতে তলিয়ে ছিলাম। এবছরও হুমকিতে। তাড়াতাড়ি ভবনটি হলে আমরা অনেক নিরাপদ মনে করবো। তবে যে ভাবে কাজ বন্ধ; কখন (কবে) কাজ হবে, তা জানিনা। এই কাজে ইঞ্জিয়ারতো কখনো আসে না। এবিষয়ে দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার পিন্টু চাকমা বলেন, দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রের কাজ প্রায় পঞ্চাশ ভাগেরও বেশি শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ সম্পন্ন করা হবে। কাজের অগ্রগতির বিষয়ে মেসার্স লাভলী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জুয়েল বলেন, আমাদের নির্মাধীনভবনের কাজ প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ভাগ সম্পন্ন। অবশিষ্ট পলাস্টারের কাজ চলমান রয়েছে। কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাহাত উজ জামান বলেন, দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রের কাজটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমরা সংশিস্নষ্ট ঠিকাদারসহ ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো।