যার চলে যায় সে বুঝে হায় বিচ্ছেদে কি যন্ত্রনা । কত স্বপ্ন , কত আশা , কত ভালোবাস একটি সন্তান নিয়ে পিতা-মাতার। সন্তানের ভালোর জন্য পিতামাত শাসন করতেই পারে , তাই বলে কি সন্তান অভিমান করে আত্মহত্যার মত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন নোয়াপাড়া চেয়ারম্যান কলোনির এসআর টাওয়ারে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। মাত্র ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর, পরীক্ষায় ফেল করায় বাবার বকুনির পর অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
জানা যায়, নেত্রকোনার মাহবুব হোসেন পরিবার নিয়ে এসআর টাওয়ারে বসবাস করছিলেন। তার ছেলে মুশফিক, সপ্তম শ্রেণির ছাত্র, সাম্প্রতিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাবা তাকে বকাঝকা করেন। বকুনিতে হতাশ হয়ে মুশফিক রাগের মাথায় নিজের স্কুল বইগুলো পুড়িয়ে ফেলে।
এরপর মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে, বাবার ওপর অভিমান করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পাহাড়তলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
মুশফিকের বাবা জানান, ছেলেটি তার ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ দেখা যায়।
এলাকাবাসী মন্তব্য করেন, “সন্তানকে ভালো রাখতে হলে শাসন করা প্রয়োজন, তবে সেই শাসন যেন বঞ্চনার রূপ না নেয়, সেটি নিশ্চিত করাও বাবা-মায়ের দায়িত্ব।”
বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য, আবেগ ও সামাজিক যোগাযোগের বিষয়গুলোতে অতিরিক্ত সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেকে। সন্তান যেন মোবাইল আসক্তি, মাদক কিংবা কিশোর গ্যাংয়ের মতো ভয়াবহ পথে না চলে যায়, সে দিকেও অভিভাবকদের সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সমাজ সচেতনরা।