লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় উপজেলা রামগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক—বয়ারচর মহাসড়ক—টানা ছয় দিন বৃষ্টি ও নদীর জোয়ারের তোড়ে ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। এতে করে রামগতি ও আশপাশের বহু গ্রাম বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। মহাসড়কটি ভেঙে পড়ার ফলে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
প্রতিদিন এই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করেন লক্ষাধিক মানুষ। ভাঙনের কারণে স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হওয়ার পথে, ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে করে শিক্ষাজীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
এই এলাকাটি স্থানীয়ভাবে “রামগতি ঘাট” নামে পরিচিত, যেখানে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ নদীর মাছ আহরণ ও বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে এখান থেকে মাছ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। সড়ক ভেঙে যাওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন জেলেরা। তারা জানান, নদীর মাছ বিক্রি করেই তারা পরিবারের ভরণপোষণ চালান। রাস্তা না থাকলে মাছ পরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে, আর তারা পড়বেন চরম খাদ্যসংকটে। অনেক জেলের আশঙ্কা, “এইভাবে চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।”
এছাড়াও, এই উপকূলীয় অঞ্চলটি কৃষিকাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহু কৃষক বিভিন্ন সংস্থা থেকে কিস্তিতে টাকা নিয়ে ধান চাষ করে থাকেন। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে কৃষিপণ্য বাজারজাত করা কঠিন হয়ে পড়বে, ফলে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বহুদিন ধরেই সড়কটির সংস্কারের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু কর্তৃপক্ষ সময়মতো উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমান পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে প্রতিদিন।
সর্বস্তরের মানুষের দাবি, রামগতি বয়ারচর মহাসড়কটি অবিলম্বে সংস্কার করতে হবে। নইলে শিক্ষা, কৃষি, মৎস্য ও সাধারণ জীবনযাত্রা সবই ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।