শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই, ২০২৫

হযরত কালুশাহ (রহ.)’র পবিত্র মাজার ঘিরে অর্থ ও ক্ষমতার দাপট, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

 

 

হযরত কালুশাহ (রহ.)’র পবিত্র মাজারকে কেন্দ্র করে চলছে অর্থ, পেশি শক্তি ও ক্ষমতার দাপট। অভিযোগ উঠেছে—সিরাজউদ্দৌলা সওদাগর নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি মাজারের প্রকৃত মোতোয়াল্লী শওকত আলী ও মো. আলীসহ তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে মাজার পরিচালনার দায়িত্ব না দিয়ে, অবৈধভাবে মাজার পরিচালনা  করে যাচ্ছেন।

বীর চট্টলা টিভির অনুসন্ধানে জানা যায, সিরাজউদ্দৌলা সওদাগর একটি ভূয়া ইসি নম্বর ব্যবহার করে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বাহিনীর সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে মাজারের শত শত কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাৎ করে আসছেন। আসন্ন ৮ই মহরম (১৫ জুলাই) পবিত্র ওরশ শরীফ উপলক্ষে তিনি ও তার অনুসারীরা বৈধ মোতোয়াল্লীদেরকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রেখে নিজের অনুগত ব্যক্তিদের নিয়ে ওরশ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।জনমনে প্রশ্ন মহামান্য সুপ্রীম কোট ৩০/৪/২০২৫ ইং তারিখে খন্দকার শওকত আলী ও খন্দকার মো: আলী গংকে বৈধ মোতোয়াল্লী ঘোষনা করা সত্ত্বেও অবৈধ ইসি নং ১৭৭৪৩ দিয়ে সিরাজউদ্দৌলা সওদাগরগং কিভাবে নিজেকে এখনও উক্ত মাজারের বৈধ মোতওয়াল্লী দাবি করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘ওরশের নামে’ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছেন তারা, যা মাজার ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা ও পবিত্রতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে। মাজার সংশ্লিষ্ট ভক্ত ও অনুসারীদের দাবি—এমন ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানে অনিয়ম-দুর্নীতি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

মাজারের প্রকৃত মোতোয়াল্লী ও ভক্তগণ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, “আমরা চাই, অবিলম্বে অবৈধ ইসি দারী সিরাজউদ্দৌলা সওদাগর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে মাজারের পবিত্রতা ও ধর্মীয় মর্যাদা বজায় থাকে।”

এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে একটি ধর্মীয় কেন্দ্রকে ঘিরে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।

Facebook
WhatsApp
Email
Pinterest
Telegram