বন্ধুত্ব মানে বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস যখন বিশ্বাসঘাতকতায় রূপ নেয়, তখন জীবন হয়ে ওঠে বিভীষিকাময়। এমনই এক নির্মম ঘটনার শিকার হয়েছেন বাগেরহাট সদর উপজেলার মনিগঞ্জ গ্রামের এক তরুণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সালিম। বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও চরম অপমানের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের আজাদ মেমোরিয়াল আদর্শপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ নুর সুলাইমানের ছেলে মোহাম্মদ নোমান। তিন বছর ধরে তিনি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সালিমের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মোহাম্মদ সালিম ও মোহাম্মদ নোমানের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে একসাথে চাকরি ও বসবাসের মাধ্যমে। বন্ধুত্বকে পবিত্র রাখার জন্য তারা কুরআন শরীফে হাত রেখে শপথও করেছিলেন। এমনকি সালিমের বিয়ের পরও সম্পর্ক অটুট থাকে—বহিরাগত কারো কাছে একে অপরকে ভাই বলেই পরিচয় দিতেন।
কিন্তু সালিমের অগোচরে নোমান শুরু করেন তার স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক। ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘ তিন বছর ধরে পরকীয়া এবং ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন সালিম। স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেয় এক ফুটফুটে সন্তান। এদিকে, ব্যবসার কাজে ঘরে অনুপস্থিত থাকাকালেই ঘটে ভয়াবহ এই সব অপকর্ম।
সালিম সন্দেহজনক কিছু আচরণ লক্ষ্য করে একটি ভিডিও ধারণ করেন। সেখানে স্পষ্ট দেখা যায় তার স্ত্রী নোমানের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত। পরে সালিম ঘটনাটি নোমানের পরিবারের কাছে জানালে উল্টো তিনি হয়ে ওঠেন নির্যাতনের শিকার। নানাভাবে নোমান সালিমকে হুমকি দামকি দিতে থাকে এমনকি অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কিছু যুবককে লেলিয়ে দিয়ে সালিমকে প্রকাশ্যে মারধর করেন নোমান।
সবকিছু মিলিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মোহাম্মদ সালিম। বন্ধুত্ব, সংসার, সম্মান—সব হারিয়ে একসময় বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।