লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলায় সম্প্রতি একটি মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে কিছু ফেসবুক পেজকে ব্যবহার করে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ ছড়ানোর মাধ্যমে সাংবাদিকতার নামে হলুদ সংবাদ পরিবেশনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব সংবাদে ব্যক্তিগতভাবে হয়রানি ও মানহানির শিকার হচ্ছেন মো. মাহফুজুর রহমান, যিনি একজন সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
মো. মাহফুজুর রহমান, পিতা-মৃত মো. ইউসুফ মিয়া, শিক্ষাগতভাবে একজন মেধাবী ছাত্রনেতা। তিনি রসায়ন বিভাগ থেকে মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে ২০২০ সাল থেকে শিক্ষা পেশায় নিযুক্ত হন। রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২নং চরবাদাম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি এবং ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রামগতি উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বিগত একদশকে তিনি হাসিনা সরকারের বিভিন্ন দমনমূলক নীতির বিরুদ্ধে ছাত্রদলের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আলহাজ্ব এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজানের বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে পরিচিত মাহফুজুর রহমানের হাত ধরে গড়ে উঠেছে চরবাদাম ইউনিয়নের ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের একাধিক নেতাকর্মী। তিনি স্থানীয় বিএনপি পরিবারের সংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে সুসংহত ও শক্তিশালী করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তবে সম্প্রতি কিছু হলুদ সাংবাদিকতা চর্চাকারী ফেসবুক পেজ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জানা গেছে, ২০২২ সালে তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হয় এবং চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার চেষ্টাও চালানো হয়। ২০২৩ সালে এনএসআই-এর মাধ্যমেও তাকে হয়রানির অভিযোগ উঠে।
এসব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও, এখনও একটি চিহ্নিত মহল তাকে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। মাহফুজুর রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সচেতন মহল এবং রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যম ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।